Pias karim biography of martin

Vampire diaries synopsis season 3

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে বিতর্ক

Article information
  • Author, ফারহানা পারভীন
  • Role, বিবিসি বাংলা, ঢাকা

বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া- না নেয়ার প্রশ্নে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

পিয়াস করিম টেলিভিশনের টক শোর-আলোচক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন।

নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আগামী শুক্রবার শহীদ মিনারে তাকে শ্রদ্ধা জানানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হচ্ছে। এদিকের পিয়াস করিমের পরিবার এই পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পিয়াস করিমের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়ার ঘোষণা দেয় নাগরিক সমাজ।

বিএনপি সমমনা শিক্ষক, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নিয়ে গঠিত এই ফোরামের পক্ষ থেকে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন করে আগামী শুক্রবার সেই দিনটি নির্ধারণ করা হয়।

নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকে ফরহাদ মজহার বলছিলেন পিয়াস করিমকে যারা ভালবাসেন ও শ্রদ্ধা করেন তাদের জন্য শহীদ মিনারের তার মরদেহ নিয়ে যেতে চাইছেন তারা।

বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পিয়াস করিম গত সোমবার হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

পিয়াস করিম বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোর আলোচক হিসেবে বেশি আলোচিত ছিলেন।

তার মৃত্যুর পর যখন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে নেওয়ার কথা বলা হওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন বিতর্ক চলতে থাকে।

সেই বিতর্ক ইন্টারনেট ছেড়ে গড়ায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে। সংগঠনগুলো বলছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে বিভিন্ন সময় তার বক্তব্য বিশেষ করে শাহবাগ আন্দোলনের সময় তার দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তারা মনে করছেন তাকে শহীদ মিনারে আনা উচিত হবে না।

ব্লগার এন্ড অনলাইন অ্যাক্টিভি নেটওয়ার্কের অনিমেষ রহমান বলছিলেন পিয়াস করিমের মরদেহকে নিয়ে ৭৫ পরবর্তী পাকিস্তান মুখি রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে সেখানেই আপত্তি জানাচ্ছে তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সে মোতাবেক আগামী শুক্রবার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনকে আগেই অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী ।

এদিকে পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা- না রাখা প্রশ্নে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেটাতে তার পরিবার তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছেন।

মি.

করিমের বোন তৌফিকা করিম বলেছেন এই পরিস্থিতি তাদের একেবারেই কাম্য নয়। তবে শহীদ মিনারে নেওয়ার বিপক্ষে যারা কথা বলছেন তাদেরও সমালোচনা করেন তিনি।

মি. করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে আনা ঠেকাতে সেখানে বিভিন্ন ব্যানারে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে আর রাস্তায় আঁকা হয়েছে পথ চিত্র।

এদিকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে শহীদ মিনারে রাখার অনুমতি না পাওয়ায় এখন পরিবারের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা।

William burden biography